বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থায় থাকতে চায় না। তবে বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি, ফলে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)ও এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। শেকৃবি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বাকৃবির পর তারা ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার শেখ রেজাউল করিম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, “শেকৃবি আগামী ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেয়নি। বাকৃবি সিদ্ধান্ত নিলে তখন আমরা আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবো।”
জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাকৃবির উদ্যোগে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে এই পদ্ধতির যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে মতামত দিচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে আলাদা ভর্তি পরীক্ষা ফিরিয়ে আনার দাবি উঠেছে।
ডিন কাউন্সিলও গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী। তিনি বলেন, “ডিন কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, বাকৃবি কৃষি গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে আসবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করছে।”
অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রাব্বানী আরও জানান, “আমরা আগে থেকেই আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা করতাম, যা আমাদের জন্য সুবিধাজনক ছিল। গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে জটিলতা তৈরি হয়েছে।”
বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেছেন, "আমরা গুচ্ছ থেকে বের হয়ে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করব যাতে উচ্চ শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি করা যায় এবং দেশের কৃষি খাতকে আরও শক্তিশালী করা যায়।"