
কুমিল্লার ঐতিহ্যবাহী ধর্মসাগর দিঘিতে সামুদ্রিক কোরাল মাছের চাষ শুরু হয়েছে এবং সম্প্রতি এখান থেকে কোরাল মাছ শিকারও শুরু হয়েছে। স্থানীয় জেলেরা প্রতিদিনই জেলেদের জালে কোরাল মাছ ধরা পড়ছে। স্থানীয়রা কৌতূহলপূর্বক দিঘির পাড়ে ভিড় জমাচ্ছে এবং জালে আটক হওয়া এসব কোরাল মাছ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেলেদের একজন লিটন চন্দ্র দাস জানান, গত কয়েকদিনে অন্তত ১৫টি কোরাল মাছ পাওয়া গেছে। এগুলোর গড় ওজন ৬-৮ কেজি। প্রতিকেজি কোরাল বিক্রি হচ্ছে দেড় হাজার টাকা কেজি করে। আরেকজন জেলে মো. দুলাল মুন্সি জানান, শনিবার বিকাল ৩টায় ধর্মসাগর দিঘিতে জাল ফেলেছেন। তাদের জালে ৩টা কোরাল ধরা পড়ে। যার মধ্যে ২টা কোরাল বিক্রি করেছেন ১৭ হাজার টাকায়। একটির ওজন ৬ কেজি এবং অন্যটির ওজন ৫ কেজি ৪০০ গ্রাম।
স্থানীয়রা কোরাল মাছ চাষের বিষয়টি বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিবুল হক ছোটন বলেন, "কোরাল সাগরের মাছ। সুস্বাদু মাছ এখন দীঘিতে চাষ হচ্ছে জেনে কিছুটা অবাক হলাম।"
ধর্মসাগর দিঘিটি জেলা প্রশাসন কর্তৃক ইজারা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে দিঘিটির ইজারাদার রয়েছেন ৪২ জন। তাদের একজন মো. তারেকুল ইসলাম জানান, বছর দুই এক আগে নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডার থেকে ৩০০টি কোরাল মাছের পোনা আনেন। তখন এগুলোর ওজন ছিলো ২০০-২৫০ গ্রাম। এখন দুই বছর পর একেকটি কোরালের ওজন হয়েছে ৫-৮ কেজি। তিনি আরও জানান, মূলত যেসব দিঘিতে পর্যাপ্ত ছোট মাছ আছে সেখানে কোরাল চাষ করা সম্ভব। ছোট মাছ খেয়েই বড় হয় কোরাল।